বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি ২০২৬
|

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ২০২৬: আবেদন প্রক্রিয়া ও বয়সসীমা | GSA Teletalk গাইড

বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি ২০২৬: সন্তানের জন্য একটি ভালো স্কুল খুঁজে বের করা এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা—প্রতিটি অভিভাবকের জন্যই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যখন পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল ও সময়সাপেক্ষ। আপনার এই দুশ্চিন্তা দূর করতে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (নিম্নমাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরসহ) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিস্তারিত তথ্য ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা নিয়ে এলাম।

বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি ২০২৬

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের মহানগরী পর্যায়, বিভাগীয় সদর, জেলার সদর উপজেলা এবং অন্যান্য উপজেলার উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোতে এই ডিজিটাল ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে।

এই আর্টিকেলে আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করব কীভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, বয়সসীমা নিয়ে জটিলতা, আবেদন ফি প্রদানের নিয়ম এবং স্কুল পছন্দের ক্ষেত্রে কী কী কৌশল অবলম্বন করা উচিত।

স্কুল ভর্তি ২০২৬: এক নজরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

যেকোনো ভুলের আগেই, এক নজরে পুরো ভর্তি প্রক্রিয়ার মূল বিষয়গুলো দেখে নিন।

বিষয় তথ্য
আবেদন গ্রহণ শুরু ২১ নভেম্বর, বেলা ১১টা
আবেদন গ্রহণের শেষ ৫ ডিসেম্বর, বিকেল ৫টা
আবেদন ফি ১০০ টাকা (প্রতি আবেদন)
আবেদন মাধ্যম সম্পূর্ণ অনলাইন (GSA ওয়েবসাইট)
আবেদনের ওয়েবসাইট gsa.teletalk.com.bd
ফি প্রদান শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে SMS-এর মাধ্যমে
স্কুল পছন্দ সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় (পছন্দক্রম অনুসারে)
ভর্তি ফরম বিদ্যালয় থেকে কোনো ফিজিক্যাল/কাগজের ফরম বিতরণ করা হবে না

কারা এবং কোন এলাকার জন্য এই ভর্তি নির্দেশিকা?

এই ভর্তি প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রযোজ্য। আপনার এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন:

১. ঢাকা মহানগরী: সকল বেসরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২. অন্যান্য মহানগরী: চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা। ৩. জেলা পর্যায়: সকল জেলার সদর উপজেলা। ৪. উপজেলা পর্যায়: অন্যান্য উপজেলার ‘উপজেলা সদর’–এ অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া

পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। ঘাবড়ে না গিয়ে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: আবেদন শুরুর পূর্বপ্রস্তুতি

আবেদন করতে বসার আগে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন:

  • শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্মনিবন্ধন: আবেদন ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদের ১৭ ডিজিটের নম্বরটি বাধ্যতামূলক। জন্মনিবন্ধনটি অবশ্যই অনলাইন-ভেরিফাইড হতে হবে।
  • অভিভাবকের তথ্য: অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।
  • স্কুলের তালিকা: আপনি আপনার সন্তানকে কোন ৫টি স্কুলে (পছন্দক্রম অনুযায়ী) ভর্তি করাতে চান, তার একটি খসড়া তালিকা।
  • টেলিটক সিম: আবেদন ফি প্রদানের জন্য একটি টেলিটক প্রিপেইড সিম (যেকোনো সিম হতে পারে, নিজের নামে না হলেও চলবে)।

ধাপ ২: GSA ওয়েবসাইটে ফরম পূরণ

১. প্রথমে gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

২. “Non-Government School Admission” অপশনটি নির্বাচন করুন।

৩. “Apply Now” বা “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

৪. একটি দীর্ঘ আবেদন ফরম আসবে। এখানে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, পিতা-মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পূরণ করুন।

৫. কোটা (যদি প্রযোজ্য হয়): আপনার সন্তান যদি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হয় অথবা আপনি যদি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মচারী/ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হন, তবে নির্দিষ্ট কোটা সিলেক্ট করুন। (মনে রাখবেন, পোষ্য বা আত্মীয়স্বজনের জন্য কোনো কোটা নেই)।

৬. সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর “Submit” করার আগে সম্পূর্ণ ফরমটি আরও একবার রিভিউ করুন।

ধাপ ৩: স্কুল নির্বাচন (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ)

ফরম পূরণের এক পর্যায়ে আপনাকে স্কুল নির্বাচন করতে বলা হবে।

  • প্রার্থীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে তাদের নিজ নিজ এলাকার (যেমন: ঢাকা মহানগরী, জেলা সদর) তালিকা থেকে প্রাপ্যতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পাঁচটি (৫) বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।

অনেক অভিভাবক শুধুমাত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কুলগুলো প্রথম ৫টি পছন্দে রাখেন। এটি একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল। এর পরিবর্তে, আপনার তালিকাটি “ব্যালেন্সড” করুন। যেমন: ২টি ‘ড্রিম’ স্কুল (যেখানে প্রতিযোগিতা বেশি), ২টি ‘রিয়েলিস্টিক’ স্কুল (মাঝারি মানের ভালো স্কুল) এবং ১টি ‘সেফ’ স্কুল (যেখানে ভর্তির সম্ভাবনা বেশি) রাখতে পারেন।

ডাবল শিফট: কোনো স্কুলে ডাবল শিফট (মর্নিং/ডে) থাকলে এবং আপনি উভয় শিফট পছন্দ করলে, সেটি আপনার দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয়) হিসেবে গণ্য হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় বা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।

ধাপ ৪: আবেদন সাবমিট ও ইউজার আইডি (User ID) সংগ্রহ

সকল তথ্য ঠিক থাকলে আবেদনটি সাবমিট করুন। সাবমিট করার পর আপনি একটি অ্যাপ্লিকেশন কপি পাবেন, যেখানে একটি User ID উল্লেখ থাকবে। এই User ID টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ছাড়া আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে না। অ্যাপ্লিকেশন কপিটি অবশ্যই ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।

ভর্তির আবেদন ফি ১০০ টাকা: যেভাবে পেমেন্ট করবেন

আবেদন সাবমিট করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে (সাধারণত শেষ তারিখের আগেই) আবেদন ফি জমা দিতে হবে, অন্যথায় আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

ফি প্রদানের মাধ্যম: শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল।

আপনার টেলিটক মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে নিচের ফরম্যাটে দুটি SMS পাঠাতে হবে:

প্রথম SMS: GSA <স্পেস> User ID লিখে 16222 নম্বরে প্রেরণ করুন। উদাহরণ: GSA ABCDEFGH

ফিরতি SMS-এ আপনাকে একটি PIN নম্বর দেওয়া হবে এবং কত টাকা কাটা হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় SMS: GSA <স্পেস> Yes <স্পেস> PIN লিখে 16222 নম্বরে প্রেরণ করুন। উদাহরণ: GSA Yes 123456

দ্বিতীয় SMS পাঠানোর পর আপনার মোবাইল থেকে ১০০ টাকা আবেদন ফি কেটে নেওয়া হবে এবং আপনি একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো।

ভর্তির বয়সসীমা ২০২৬: জটিলতা ও সঠিক হিসাব

বয়সসীমা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি দেখা যায়। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বয়স কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।

প্রথম শ্রেণির (Class 1) বয়সসীমা

  • নীতিমালা: প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় (৬) বছরের বেশি হতে হবে।

  • সরকারি হিসাব (২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য):

    • সর্বনিম্ন বয়স: ৫ বছর (অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ বা এর আগে হতে হবে)।

    • সর্বোচ্চ বয়স: ৭ বছর (অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ বা এর পরে হতে হবে)।

সহজ কথায়: আপনার সন্তানের জন্মতারিখ যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২১-এর মধ্যে হয়, তবেই সে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।

অন্যান্য শ্রেণির বয়সসীমা

পরবর্তী শ্রেণিগুলোর বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণির ভর্তির বয়সসীমা (ন্যূনতম ৬ বছর) অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৭+, তৃতীয় শ্রেণির জন্য ৮+ ইত্যাদি।

বয়স প্রমাণের ডকুমেন্ট

শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অবশ্যই অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। ফিজিক্যাল বা হাতে লেখা জন্মসনদ গ্রহণযোগ্য নয়।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (Special Needs) শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ নমনীয়তা রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সসীমা থেকে অতিরিক্ত পাঁচ (৫) বছর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।

কোটা ও বিশেষ সুবিধা: প্রচলিত ভুল ধারণা

ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা নিয়ে অনেক সময় ভুল তথ্য ছড়ায়। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের নীতিমালা অনুযায়ী:

  • শিক্ষক/কর্মচারী কোটা: ঢাকা মহানগরীসহ সকল নির্দিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের (যদি থাকে) ভর্তির ক্ষেত্রে, তাদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকবে।

  • অন্যান্য কোটা: উপরে উল্লিখিত কোটা ব্যতীত, ‘পোষ্য’, ‘আত্মীয়স্বজন’ বা অন্য কোনো নামে ম্যানেজিং কমিটির জন্য কোনো আসন সংরক্ষণ থাকবে না।

শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে?

অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শেষ হওয়ার পর, শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া (যেমন লটারি বা অন্যান্য মূল্যায়ন) অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের মহানগরী পর্যায়, বিভাগীয় সদর, জেলার সদর উপজেলা ও অন্য উপজেলার উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যেমন: মাউশি বা ভর্তি কমিটি) জানিয়ে দেবে।

অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ এবং ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত ও সর্বশেষ নিয়মাবলি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (https://dshe.gov.bd) এবং ভর্তির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট (https://gsa.teletalk.com.bd) থেকে জানা যাবে।

অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ

  • শেষ দিনের অপেক্ষা নয়: অনলাইনে আবেদন করার জন্য ৫ ডিসেম্বর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। সার্ভারের জ্যাম বা টেকনিক্যাল সমস্যা এড়াতে অন্তত ১-২ দিন আগেই আবেদন ও ফি পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
  • জন্মসনদ যাচাই: আবেদন শুরু করার আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার সন্তানের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদটি ঠিক আছে এবং এতে কোনো তথ্যের ভুল (বিশেষ করে নাম, জন্মতারিখ, পিতা-মাতার নাম) নেই।
  • ডাবল চেক: আবেদন সাবমিট করার আগে প্রতিটি তথ্য, বিশেষ করে মোবাইল নম্বর এবং স্কুল পছন্দের ক্রম, একাধিকবার যাচাই করুন।
  • একাধিক আবেদন: একজন শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করতে পারবে না। তবে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল পছন্দ করতে পারবে।

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির এই ডিজিটাল প্রক্রিয়াটি প্রথমদিকে জটিল মনে হলেও, সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি থাকলে এটি খুব সহজেই সম্পন্ন করা যায়। আশা করি, এই গাইডটি আপনাকে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে আপনার সন্তানের ভর্তি প্রক্রিয়াটি নির্ভুলভাবে শেষ করতে সহায়তা করবে। আপনার সন্তানের শিক্ষাজীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ ধাপটির জন্য রইলো শুভকামনা।

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *